সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার সন্তান যখন শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী

আপনার সন্তান যখন শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

আপনার সন্তান যখন শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী

কারলো: * “আমাদের ছেলে অ্যানজেলোর ডাউন সিনড্রোম (জন্মগত ত্রুটি, যেটার কারণে বাচ্চা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়) রয়েছে। তার অসুস্থতা আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগত শক্তিকে একেবারে নিঃশেষ করে ফেলে। একটি সুস্থসবল বাচ্চার যত্ন নেওয়ার জন্য আপনার কতটা শক্তি প্রয়োজন হয়, তা একটু ভেবে দেখুন আর এরপর সেটাকে এক-শো দিয়ে গুণ করুন। কখনো কখনো আমাদের বৈবাহিক বন্ধনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

মিয়া: “অ্যানজেলোকে একেবারে সাধারণ কোনো কিছু শিক্ষা দেওয়ার জন্যও অধ্যবসায় ও অনেক ধৈর্য প্রয়োজন। আমি যখন সত্যিই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখন আমি সহজেই আমার স্বামী কারলোর ওপর বিরক্ত হয়ে যাই। কখনো কখনো আমরা বিভিন্ন বিষয়ে একমত হতে পারি না আর তখন আমাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়।”

আপনি কি সেই দিনটার কথা মনে করতে পারেন, যে-দিনে আপনার সন্তানের জন্ম হয়েছিল? কোনো সন্দেহ নেই যে, আপনি বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষী ছিলেন। কিন্তু, কারলো ও মিয়ার মতো বাবা-মায়েদের মনে আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে উদ্‌বিগ্নতার অনুভূতিও দানা বাঁধে, যখন তাদেরকে বলা হয় যে, তাদের সন্তান অসুস্থ অথবা প্রতিবন্ধী।

আপনার কি শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো সন্তান রয়েছে? তাহলে আপনি হয়তো ভাবেন যে, আপনি এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন কি না। যদি তা-ই হয়, তাহলে হতাশ হয়ে পড়বেন না। আপনার মতো বাবা-মায়েরা একই ধরনের সমস্যার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। আপনি যে-তিনটে সাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারেন সেগুলো ও সেইসঙ্গে বাইবেলে প্রাপ্ত প্রজ্ঞা কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে, তা বিবেচনা করে দেখুন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ১: আপনার সন্তান যে শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী এই বিষয়টা মেনে নেওয়া আপনার জন্য কঠিন হয়।

অনেক বাবা-মা সেই সময় একেবারে ভেঙে পড়ে, যখন তারা জানতে পারে যে, তাদের সন্তান অসুস্থ। মেক্সিকোর একজন মা জুলিয়ানা বলেন, “ডাক্তাররা যখন আমাকে বলেছিল আমাদের ছেলে সান্তিয়াগোর সেরেব্রাল পালজি (মস্তিস্কের পক্ষাঘাত) আছে, তখন আমি তা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল যেন আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।” অন্যেরা হয়তো ইতালির একজন মা ভিলানার মতো অনুভব করতে পারে। তিনি বলেন, “আমি একটা সন্তান নিতে চেয়েছিলাম, এমনকী যদিও তা আমার বয়সি মহিলাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন, আমার ছেলে যখন ডাউন সিনড্রোমে ভুগছে, তখন আমার নিজেকে অপরাধী বলে মনে হয়।”

আপনার মধ্যে যদি হতাশার অনুভূতি অথবা অপরাধবোধ কাজ করে, তাহলে অবগত থাকুন যে, আপনার এইরকম প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্যের মধ্যে অসুস্থতা ছিল না। (আদিপুস্তক ১:২৭, ২৮) তিনি বাবা-মায়েদের এমন ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেননি যে, তারা সহজেই অস্বাভাবিক বিষয় মেনে নেবে। এক অর্থে, যা হারিয়ে গিয়েছে সেটার জন্য অর্থাৎ আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির জন্য “দুঃখ” পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনার আবেগকে শান্ত করার এবং আপনার নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

আপনার সন্তানের অক্ষমতার জন্য আপনি যদি নিজেকে দায়ী বলে মনে করেন, তাহলে? মনে রাখবেন, বংশগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্য, পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় একটা সন্তানের স্বাস্থ্যেক কীভাবে প্রভাবিত করে থাকে, তা কেউই পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারে না। অন্যদিকে, আপনার মধ্যে হয়তো আপনার সাথিকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা কাজ করতে পারে। এই ধরনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রতিরোধ করুন। আরও ভালো হয়, যদি আপনি আপনার সাথিকে সহযোগিতা করেন এবং আপনাদের সন্তানের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেন।—উপদেশক ৪:৯, ১০.

পরামর্শ: আপনার সন্তানের পরিস্থিতি জানুন। বাইবেল বলে, “প্রজ্ঞা দ্বারা গৃহ নির্ম্মিত হয়, আর বুদ্ধি দ্বারা তাহা স্থিরীকৃত হয়।”—হিতোপদেশ ২৪:৩.

আপনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে এবং নির্ভরযোগ্য প্রকাশনাদি থেকে আরও জানতে পারেন। আপনি হয়তো আপনার সন্তানের অবস্থা সম্বন্ধে জানার প্রক্রিয়াকে একটা নতুন ভাষা আয়ত্ত করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। প্রথমে, তা কঠিন বলে মনে হবে, কিন্তু আপনি তা শিখতে পারবেন।

শুরুতে উল্লেখিত কারলো ও মিয়া তাদের ডাক্তারের কাছ থেকে এবং তাদের ছেলের রোগটা নিয়ে গবেষণা করে এমন একটা সংগঠনের কাছ থেকে তথ্য অনুসন্ধান করেছিল। তারা বলে, “এর ফলে আমরা যে শুধু সম্ভাব্য সমস্যাগুলোই বুঝতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু সেইসঙ্গে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি কোন বিষয়গুলো করতে পারে, তা-ও জানতে পেরেছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের ছেলে এমনভাবে জীবনযাপন করতে পারে, যা অনেক দিক দিয়ে স্বাভাবিক। এই বিষয়টা আমাদের অনেক সান্ত্বনা দিয়েছে।”

এটা করে দেখুন: আপনার সন্তান যা করতে পারে, সেটার দিকে মনোযোগ দিন। পরিবারগতভাবে বিভিন্ন কাজ করার পরিকল্পনা করুন। আপনার সন্তান যখন সামান্য কিছুও “সম্পাদন করে,” তখন সঙ্গেসঙ্গে তার প্রশংসা করুন এবং তার আনন্দের সহভাগী হোন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ২: আপনার মনে হয় আপনি একেবারে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছেন এবং আপনাকে আবেগগতভাবে সমর্থন করার কেউ নেই।

আপনি হয়তো মনে করতে পারেন যে, আপনার অসুস্থ সন্তানকে যত্ন নেওয়ার জন্য আপনার সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। জেনি নামে নিউজিল্যান্ডের একজন মা বলেন, “আমার ছেলের স্পাইনা বিফিডা রোগ (মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতার কারণে পায়ের স্থায়ী পক্ষাঘাত) ধরা পরার পর, কয়েক বছর ধরে আমি যখনই বাড়ির অতিরিক্ত কোনো কাজ করতে যেতাম, তখন একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আর কাঁদতে শুরু করতাম।”

আরেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হল, আপনি একাকিত্ব বোধ করতে পারেন। বেনের একটা ছেলে রয়েছে, যে মাসকুলার ডিসট্রফি (পেশির অসম্পূর্ণ পরিপুষ্টি) এবং অ্যাসপারগার্স সিনড্রোমে (অটিজম বা আত্মমগ্নতা রোগের মতো এক প্রকার মানসিক রোগে) আক্রান্ত। বেন বলেন, “অধিকাংশ লোকই বুঝতে পারবে না যে, আমাদের জীবন আসলে কেমন।” আপনি হয়তো কারো সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু, আপনার অধিকাংশ বন্ধুরই সুস্থসবল সন্তান রয়েছে। আর সেই কারণে আপনি তাদের কাছে আপনার মনের কথা খুলে বলতে দ্বিধাবোধ করেন।

পরামর্শ: সাহায্যের জন্য অনুরোধ করুন। আর কেউ যখন সাহায্য করতে চায়, তখন তা গ্রহণ করুন। পূর্বে উল্লেখিত জুলিয়ানা বলেন, “কখনো কখনো আমি ও আমার স্বামী সাহায্য চাইতে বিব্রতবোধ করি।” তা সত্ত্বেও, তিনি বলেন, “আমরা শিখেছি যে, আমাদের অন্যদের কাছ থেকে সাহায্যের প্রয়োজন। অন্যেরা যখন আমাদের সাহায্য করে, তখন আমরা খুব একটা একাকিত্ব বোধ করি না।” যদি কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু অথবা পরিবারের সদস্য সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে কিংবা খ্রিস্টীয় সভাতে আপনার সন্তানের সঙ্গে বসতে চায়, তাহলে আনন্দের সঙ্গে তা করতে দিন “বন্ধু সর্ব্বসময়ে প্রেম করে, ভ্রাতা দুর্দ্দশার” বা দুর্দশার সময়ের “জন্য জন্মে,” বাইবেলের একটা প্রবাদ বলে।—হিতোপদেশ ১৭:১৭.

আপনার নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। একটা অ্যাম্বুলেন্স যদি ক্রমাগতভাবে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে চায়, তাহলে এটার যেমন নিয়মিতভাবে জ্বালানি প্রয়োজন, তেমনই আপনি যদি ক্রমাগতভাবে আপনার সন্তানের প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে চান, তাহলে আপনাকেও উপযুক্ত খাবার, ব্যায়াম এবং বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। খাভিয়ের, যার একটি পঙ্গু ছেলে আছে, তিনি বলেন: “আমার ছেলে হাঁটতে পারে না, তাই আমি মনে করি, আমাকে ভালো করে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। কারণ, আমিই তাকে কোলে করে এখানে-সেখানে নিয়ে যাই। আমার পা-ই তো ওর পা!”

নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি কীভাবে সময় বের করতে পারেন? কোনো কোনো বাবা-মা পালা করে তাদের সন্তানের যত্ন নিয়ে থাকে। এভাবে একজন বাবা অথবা মা বিশ্রাম নিতে অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনগুলোর যত্ন নিতে পারবেন। আপনাকে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে সময় কিনে নিতে হবে আর এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বরূপ হতে পারে। তবে ভারতের একজন মা ময়ূরী যেমন বলেন, “এক পর্যায়ে আপনি একটা তালিকায় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।”

নির্ভরযোগ্য কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। এমনকী যে-বন্ধুদের অসুস্থ সন্তান নেই, তারাও আপনাকে সান্ত্বনা দিতে পারে। এ ছাড়া, আপনি যিহোবা ঈশ্বরের কাছেও প্রার্থনা করতে পারেন। প্রার্থনা কি সত্যিই সাহায্য করবে? ইয়াজমিন, যার দুটো সন্তানেরই সিস্টিক ফাইব্রোসিস (শ্বাসপ্রশ্বাস ও পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয় এমন দুরারোগ্য ব্যাধি) রয়েছে, তিনি স্বীকার করে বলেন, “আমি এমন কঠিন চাপেরও মুখোমুখি হয়েছি, যখন মনে হয়েছিল আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।” তা সত্ত্বেও, তিনি বলেন: “আমি স্বস্তি এবং শক্তি লাভ করার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি। তখন আমার মনে হয়, আমি তা সহ্য করতে পারব।”—গীতসংহিতা ১৪৫:১৮.

এটা করে দেখুন: আপনি কী খান, কখন ব্যায়াম করেন এবং কতটুকু সময় ঘুমান, তা বিবেচনা করে দেখুন। নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি কীভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে সময় কিনে নিতে পারেন, তা খুঁজে বের করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী সবসময় আপনার তালিকা রদবদল করুন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ৩: আপনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যের চেয়ে আপনার অসুস্থ সন্তানের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়ে থাকেন।

একটা সন্তানের অসুস্থতা হয়তো পরিবার কী ধরনের খাবার খায়, কোথায় যায় এবং প্রত্যেক সন্তানের সঙ্গে বাবা-মা কতটুকু সময় কাটায়, সেই বিষয়গুলোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে, অন্যান্য সন্তান হয়তো অবহেলিত বোধ করতে পারে। তা ছাড়া, বাবা-মায়েরা তাদের অসুস্থ সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য এতটাই ব্যস্ত থাকতে পারে যে, তাদের বৈবাহিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাইবেরিয়ার একজন বাবা লাইওনেল বলেন, “মাঝে মাঝে আমার স্ত্রী বলে, অধিকাংশ কাজ সে-ই করছে আর আমি আমাদের ছেলের কোনো যত্নই নিই না। তখন আমি অপমানিত বোধ করি আর মাঝে মাঝে নির্দয় আচরণ করে ফেলি।”

পরামর্শ: আপনি যে আপনার সমস্ত সন্তানের প্রতিই আগ্রহী, সেই ব্যাপারে আশ্বস্ত করার জন্য তাদের পছন্দের কাজগুলো করার পরিকল্পনা করুন। পূর্বে উল্লেখিত জেনি বলেন, “মাঝে মাঝে আমরা আমাদের বড়ো ছেলের জন্য বিশেষ কিছু করি, হতে পারে তার পছন্দের রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুপুরের খাবার খাই।”

আপনার বৈবাহিক বন্ধনকে সুরক্ষা করার জন্য আপনার সাথির সঙ্গে কথা বলুন এবং একসঙ্গে প্রার্থনা করুন। ভারতে অসীম নামে একজন বাবা, যার ছেলে এক ধরনের মৃগী রোগে আক্রান্ত, তিনি বলেন, “যদিও আমি ও আমার স্ত্রী কখনো কখনো খুবই ক্লান্ত এবং হতাশ হয়ে পড়ি, কিন্তু তার পরও আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলার ও প্রার্থনা করার জন্য সময় করে নিই। প্রতিদিন সকালে, আমাদের সন্তানরা ঘুম থেকে উঠার আগে আমরা বাইবেল থেকে একটা শাস্ত্রপদ নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করি।” অন্য দম্পতিরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে একান্তে কথা বলে থাকে। আপনাদের অন্তরঙ্গ কথাবার্তা এবং আন্তরিক প্রার্থনা কঠিন চাপের মধ্যেও আপনাদের বৈবাহিক বন্ধনকে শক্তিশালী করবে। (হিতোপদেশ ১৫:২২) এক দম্পতি যেমন বলেছে, “আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েই আমরা জীবনের সবচেয়ে মধুর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি।”

এটা করে দেখুন: আপনার অন্যান্য সন্তান যদি অসুস্থ সন্তানকে কোনোরকম সাহায্য করে থাকে, তাহলে তাদের প্রশংসা করুন। তাদের প্রতি ও আপনার সাথির প্রতি নিয়মিতভাবে প্রেম এবং উপলব্ধি প্রকাশ করুন।

আশাবাদী মনোভাব বজায় রাখুন

বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে যে, খুব শীঘ্র ঈশ্বর সমস্ত প্রকার রোগ এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেবেন, যা যুবক-বৃদ্ধ সকলকেই প্রভাবিত করে থাকে। (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) সেই সময়, “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত।”  *যিশাইয় ৩৩:২৪.

এই সময়ের মধ্যে, একজন প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা অথবা মা হিসেবে আপনি সফল হতে পারবেন। শুরুতে উল্লেখিত কারলো ও মিয়া বলে, “যখন মনে হয় কোনো কিছুই ঠিক হচ্ছে না, তখনও নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন না। আপনার সন্তানের অপূর্ব দিকগুলোর দিকে মনোযোগ দিন কারণ এইরকম অনেক দিক রয়েছে।” ▪ (w১৩-E ০২/০১)

[পাদটীকাগুলো]

^ এই প্রবন্ধে কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

^ আপনি নিখুঁত স্বাস্থ্যের বিষয়ে বাইবেলের প্রতিজ্ঞা সম্বন্ধে যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৩ অধ্যায় থেকে আরও তথ্য পড়তে পারবেন।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

▪ আমার শারীরিক, আবেগগত এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য যতটা সম্ভব শক্তিশালী রাখার জন্য আমি কী করি?

▪ শেষ কবে আমি আমার অন্যান্য সন্তানকে তাদের সাহায্যের জন্য প্রশংসা করেছি?

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার সমস্ত সন্তানের প্রতি আগ্রহ দেখান