সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন—নিউ ইয়র্কে

তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন—নিউ ইয়র্কে

কয়েক বছর আগে, সেজার ও তার স্ত্রী রোজিও ক্যালিফোর্নিয়ায় নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপন করছিলেন। সেজার সেখানে পূর্ণসময়ের চাকরি করতেন এবং তার কাজ ছিল বাড়িঘরের উষ্ণতা, বায়ু চলাচল ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। আর রোজিও একজন ডাক্তারের অফিসে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। তাদের নিজেদের বাড়ি ছিল আর তাদের কোনো সন্তান ছিল না। কিন্তু, একটা ঘটনা তাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল। সেটা কী?

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের শাখা অফিস থেকে সেই দেশের সমস্ত মণ্ডলীতে একটা চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেন তারা নিউ ইয়র্কের ওয়ালকিলে অবস্থিত শাখা অফিস সম্প্রসারণে সাহায্য করার জন্য সাময়িক বেথেল সেবার আবেদনপত্র পূরণ করেন। এমনকী বেথেল সেবার জন্য নির্ধারিত বয়সের চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিদেরও আবেদন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেজার ও রোজিও বলেন, “আমরা জানতাম, আমাদের বয়সের কারণে বেথেলে কাজ করার এমন সুযোগ জীবনে আর কখনো আসবে না। আমরা সেই সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাইনি!” তাই সেই দম্পতি অবিলম্বে তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।

ওয়ারউইকে কাজ করছেন এমন কিছু স্বেচ্ছাসেবক

কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও, সেজার ও রোজিওকে বেথেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তা সত্ত্বেও, তারা তাদের জীবনকে সাদাসিধে করার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেজার বলেন, “আমরা আমাদের গ্যারেজটাকে ঠিকঠাক করে এক রুমের একটা অ্যাপার্টমেন্টে পরিণত করেছিলাম, যাতে আমাদের বাড়িটা কারো কাছে ভাড়া দিতে পারি। এরপর, আমরা মাত্র কয়েক বছর আগে বানানো আমাদের ২,২০০-স্কোযার-ফুটের স্বপ্নের বাড়ি থেকে বের হয়ে, আমাদের সেই ২৭০-স্কোযার-ফুটের অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছিলাম। এই পরিবর্তন করার ফলে, আমরা বেথেলে সেবা করার আমন্ত্রণ পেলে, তা গ্রহণ করার মতো আরও সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলাম।” এরপর কী হয়েছিল? রোজিও বলেন, “ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসার এক মাস পর, আমরা ওয়ালকিলে সাময়িক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা করার আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলাম। এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, জীবনকে সাদাসিধে করার মাধ্যমে আমরা যিহোবাকে আমাদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করার সুযোগ দিয়েছিলাম।”

জেসন, সেজার এবং উইলিয়াম

আত্মত্যাগমূলক মনোভাবের কারণে তারা আশীর্বাদ লাভ করছেন

সেজার ও রোজিওর মতো, শত শত ভাই-বোন নিউ ইয়র্কে যে-নির্মাণকাজ চলছে, তাতে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ত্যাগস্বীকার করেছে। এদের মধ্যে বেশ কিছু ভাই-বোন ওয়ালকিলের শাখা অফিস সম্প্রসারণে সমর্থন করছে, আবার অন্যেরা ওয়ারউইকে বিশ্বপ্রধান কার্যালয় নির্মাণে সাহায্য করার বিশেষ সুযোগ পেয়েছে। * অনেক দম্পতি যিহোবাকে আরও পূর্ণরূপে সেবা করার জন্য তাদের সুন্দর বাড়ি, ভালো বেতনের চাকরি আর এমনকী পোষা প্রাণীকে ছেড়ে এসেছে। যিহোবা কি তাদের এই আত্মত্যাগমূলক মনোভাবের ওপর আশীর্বাদ করেছেন? অবশ্যই করেছেন!

ওয়ে

উদাহরণ হিসেবে ওয়ে নামে একজন ইলেকট্রিশিয়ান এবং তার স্ত্রী ডেব্রার কথা চিন্তা করুন, যাদের বয়স ৫০-এর কোঠার শেষের দিকে। তারা কানসাসে তাদের বাড়ি ও বেশিরভাগ জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন এবং কমিউটার বেথেলাইট হিসেবে সেবা করার জন্য ওয়ালকিলে চলে গিয়েছেন। * যদিও তা করার জন্য তাদের জীবনে রদবদল করার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তারা মনে করেন, তাদের সেই ত্যাগস্বীকার সার্থক হয়েছে। বেথেলে নিজের কাজ সম্বন্ধে ডেব্রা বলেন: “মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমাদের প্রকাশনায় পরমদেশে নির্মাণকাজের যে-ছবিগুলো দেওয়া হয়, আমি সেগুলোর কোনো একটাতে ঢুকে পড়েছি!”

মেলভিন শ্যারন, ওয়ারউইকের কাজে সহযোগিতা করার জন্য দক্ষিণ ক্যারোলিনায় তাদের বাড়ি ও জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছিলেন। যদিও এই ত্যাগস্বীকার করা অনেক সহজ ছিল না, তবে এই দম্পতি মনে করেন, এই ঐতিহাসিক প্রকল্পে কাজ করতে পারা তাদের জন্য এক বিশেষ সুযোগ। তারা বলেন: “আপনি এমন কিছু করছেন, যা বিশ্বব্যাপী সংগঠনের উপকার নিয়ে আসবে। এই বিষয়টা জানার ফলে যে-আনন্দ পাওয়া যায়, সেটা দারুণ এক অনুভূতি।”

কেনেথ

কেনেথ নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত নির্মাণকর্মী ও তার স্ত্রীর মরিনের বয়স ৫০-এর কোঠার মাঝামাঝি। তারা ওয়ারউইক প্রকল্পে সেবা করার জন্য ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওয়ারউইকে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে চলে যাওয়ার জন্য, তারা মণ্ডলীর একজন বোনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাড়ি দেখাশোনা করার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছিলেন, যেন তারা কেনেথের বয়স্ক বাবার যত্ন নেন। বেথেলে সেবা করার জন্য এই ত্যাগস্বীকার করার কারণে তারা কি আপশোস করেন? না! কেনেথ বলেন: “আমরা প্রচুর উপকার লাভ করছি। তার মানে কি আমাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই? অবশ্যই তা নয়, কিন্তু আমরা অনেক পরিতৃপ্তিদায়ক এক জীবন উপভোগ করছি আর অন্যদেরকেও এই সেবায় যোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে সুপারিশ করছি।”

বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাটিয়ে ওঠা

যারা স্বেচ্ছায় এই কাজের জন্য এসেছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিকেই বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে উঠতে হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, উইলিয়াম সেন্ড্রার বয়স এখন ৬০-এর কোঠার প্রথম দিকে। তারা পেনসিলভানিয়ায় স্থায়ীভাবে নির্বিঘ্নে জীবন কাটাচ্ছিলেন। তাদের একটা সফল কোম্পানি ছিল, যেখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা হতো আর সেখানে ১৭ জন লোক কাজ করত। তারা ছোটোবেলা থেকে একই মণ্ডলীতে সেবা করছিলেন আর তাদের অধিকাংশ আত্মীয় সেই এলাকাতেই থাকত। তাই, যখন ওয়ালকিলে কমিউটার হিসেবে সেবা করার সুযোগ আসে, তখন তারা বুঝতে পারেন, এর অর্থ হচ্ছে পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবাইকেই তাদের বিদায় জানাতে হবে এবং প্রায় সমস্ত কিছুই ছেড়ে যেতে হবে। উইলিয়াম বলেন, “নিঃসন্দেহে, সবচেয়ে বড়ো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আমাদের পরিচিত গণ্ডির বাইরে যাওয়া।” কিন্তু, অনেক প্রার্থনা করার পর সেই দম্পতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর এই পদক্ষেপের জন্য তারা আপশোস করেন না। উইলিয়াম বলেন, “বেথেল পরিবারের কাজে সরাসরি জড়িত হওয়া ও তাদের পাশে থেকে সেবা করার সুযোগকে, কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। সেন্ড্রা আর আমি এই সুযোগ পেয়ে অনেক খুশি!”

ওয়ালকিলে কাজ করছেন এমন কিছু দম্পতি

রিকি নামে হাওয়াইয়ের একজন নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপককে ওয়ারউইক প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য একজন কমিউটার বেথেলাইট হিসেবে সেবা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার স্ত্রী ক্যান্ড্রা চেয়েছিলেন যেন তার স্বামী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। কিন্তু, তাদের একটা যুক্তিযুক্ত চিন্তার বিষয় ছিল আর তা হল: এতে তাদের ১১ বছরের ছেলে জেকব উপকৃত হবে কি না। তারা চিন্তা করেছিলেন, পরিবার নিয়ে জায়গা পরিবর্তন করে নিউ ইয়র্কে চলে যাওয়া বিজ্ঞতার কাজ হবে কি না এবং তাদের ছেলে পুরোপুরি ভিন্ন এক পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে কি না।

রিকি বলেন, “আমরা যে-বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, সেগুলোর মধ্যে একটা ছিল, এমন একটা মণ্ডলী খুঁজে বের করা, যেখানে অল্পবয়সিরা আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করছে। আমরা চেয়েছিলাম যেন জেকব প্রচুর পরিমাণে উত্তম সাহচর্য লাভ করে।” কিন্তু দেখা গিয়েছিল, তারা শেষপর্যন্ত এমন একটা মণ্ডলীতে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে অল্পবয়সি ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কম ছিল, তবে সেখানে বেশ কয়েক জন বেথেলাইট ছিলেন। রিকি বলেন, “সেখানে প্রথম বার সভা করার পর আমি জেকবকে জিজ্ঞেস করি নতুন মণ্ডলীতে তার কেমন লেগেছে, কারণ সেখানে তার বয়সি কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। সে আমাকে বলে, ‘চিন্তা করো না বাবা। বেথেলের যুবক ভাইয়েরা আমার বন্ধু হবে।’”

জেকব এবং তার বাবা-মা, তাদের মণ্ডলীতে বেথেলাইটদের সঙ্গে মেলামেশা উপভোগ করে

নিশ্চিতভাবেই, যুবক বেথেলাইটরা জেকবের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। এর ফল কী হয়েছিল? রিকি বলেন, “এক রাতে, আমি আমার ছেলের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার ঘরে আলো জ্বলতে দেখি। আমি মনে করেছি, আমি দেখব সে কোনো ইলেকট্রনিক গেম খেলছে, কিন্তু সে বাইবেল পড়ছিল! জেকবকে যখন জিজ্ঞেস করি, সে কী করছে, তখন সে বলে, ‘আমি যুবক বেথেলাইট হচ্ছি আর তাই আমি এক বছরের মধ্যে বাইবেল পড়ে শেষ করব।’” রিকি আর ক্যান্ড্রা যে কত রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন, তা বলা নিষ্প্রয়োজন। কারণ, শুধু যে রিকি ওয়ারউইকের নির্মাণকাজে অংশ নিতে পারছেন তা নয়, কিন্তু একইসঙ্গে সেখানে চলে আসার ফলে তাদের ছেলেও আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করতে পারছে।—হিতো. ২২:৬.

তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্‌বিগ্ন নয়

লুইস এবং ডেল

ওয়ালকিল এবং ওয়ারউইকের প্রকল্প যেহেতু একসময় শেষ হয়ে যাবে, তাই সেখানে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা এটা জানেন, তাদের বেথেল সেবা সাময়িক। তখন এই ভাই-বোনেরা কোথায় যাবেন অথবা কী করবেন, তা নিয়ে কি তারা অতিমাত্রায় উদ্‌বিগ্ন? একেবারেই না! অনেকের অনুভূতি ফ্লোরিডা থেকে আগত মধ্যবয়সি দুই দম্পতির মতো। জন নামে একজন নির্মাণ ব্যবস্থাপক এবং তার স্ত্রী কারমেন, ওয়ারউইকে সাময়িক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা করছেন। তারা বলেন: “এই পর্যন্ত যিহোবা যেভাবে আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনগুলো পূরণ করে এসেছেন, তা আমরা দেখেছি। আমরা এভাবে যুক্তি করি, যিহোবাই আমাদের এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন আর তাই এর পরেও তিনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না।” (গীত. ১১৯:১১৬) লুইস অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার নকশা তৈরি করেন। তিনি ও তার স্ত্রী কেনিয়া ওয়ালকিলে সেবা করেন। তারা বলেন: “আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি, যিহোবার উদার হস্ত আমাদের বস্তুগত প্রয়োজন মিটিয়ে দিচ্ছে। আমরা নিশ্চিত, তিনি ক্রমাগত আমাদের যত্ন নেবেন, তবে কোথায়, কখন অথবা কীভাবে তা নেবেন, সেটা আমরা জানি না।”—গীত. ৩৪:১০; ৩৭:২৫.

“অপরিমেয় আশীর্ব্বাদ”

জন এবং মেলভিন

নিউ ইয়র্কের নির্মাণ প্রকল্পে যারা সহযোগিতা করছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ না করার জন্য বিভিন্ন কারণ দেখাতে পারতেন। কিন্তু, তারা যিহোবাকে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন—ঠিক যেমনটা তিনি আমাদের সকলকে করতে বলেন: “আমার পরীক্ষা কর, . . . আমি আকাশের দ্বার সকল মুক্ত করিয়া তোমাদের প্রতি অপরিমেয় আশীর্ব্বাদ বর্ষণ করি কি না।”—মালাখি ৩:১০.

আপনিও কি যিহোবাকে পরীক্ষা করে দেখতে এবং তাঁর কাছ থেকে অপরিমেয় আশীর্বাদ লাভ করতে চান? নিউ ইয়র্কেই হোক অথবা অন্য কোনো ঈশতান্ত্রিক নির্মাণ প্রকল্পেই হোক, এখন যে-রোমাঞ্চকর কাজ চলছে তাতে অংশ নেওয়ার জন্য আপনি কী করতে পারেন, তা প্রার্থনাপূর্বক বিবেচনা করুন এবং যিহোবা কীভাবে আপনাকে পুরস্কৃত করেন, তা নিজের চোখে দেখুন।—মার্ক ১০:২৯, ৩০.

গ্যারি

ডেল নামে একজন ভাই হলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ও তার স্ত্রী ক্যাথি আলাবামা থেকে এসেছেন আর তারা এই ধরনের সেবা সম্বন্ধে বেশ ভালো মন্তব্য করেছেন। তারা ওয়ালকিলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। তারা বলেন: “আপনি যদি সাহসের সঙ্গে পরিচিত গণ্ডির বাইরে পা রাখেন, তাহলে যিহোবার আত্মা যে কাজ করছে, তা আপনি দেখতে পারবেন।” আর নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার কী করা প্রয়োজন? ডেল বলেন: “জীবনকে সাদাসিধে করুন, সাদাসিধে করুন আর এরপর আরেকটু সাদাসিধে করুন। এর জন্য আপনি কখনোই আপশোস করবেন না!” উত্তর ক্যারোলিনা থেকে আসা গ্যারির, নির্মাণ ব্যবস্থাপনায় ৩০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি এবং তার স্ত্রী মরিন বলেন, ওয়ারউইকে তারা যে-সমস্ত আশীর্বাদ উপভোগ করছেন, সেগুলোর মধ্যে একটা হল “সেই চমৎকার ভাই-বোনদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ও কাজ করা, যারা সারাজীবন ধরে বেথেলে যিহোবাকে সেবা করছেন।” গ্যারি আরও বলেন: “বেথেলে সেবা করার জন্য আপনার জীবনকে সাদাসিধে করতে হবে আর বর্তমান বিধিব্যবস্থায় এভাবে জীবনযাপন করাই হল সর্বোত্তম।” ইলিনোয়া থেকে আসা জেসন, আগে একটা ইলেকট্রিক কোম্পানিতে কাজ করতেন। তিনি এবং তার স্ত্রী জেনিফার বলেন, ওয়ালকিলে বেথেলের কোনো প্রকল্পে কাজ করা হল, “নতুন জগতে বাস করার মতোই এক অভিজ্ঞতা।” জেনিফার আরও বলেন: “এই বিষয়টা জানা অত্যন্ত আনন্দদায়ক যে, আপনি যে-সমস্ত কাজ করছেন, তা যিহোবা উপলব্ধি করেন আর তাঁর চোখে এই কাজগুলোর চিরস্থায়ী মূল্য রয়েছে। যিহোবা লক্ষ রাখেন যেন আপনি অপরিমেয় আশীর্বাদ লাভ করেন।”

^ অনু. 6 যিহোবার সাক্ষিদের বর্ষপুস্তক ২০১৪ (ইংরেজি) বইয়ের ১২-১৩ পৃষ্ঠা দেখুন।

^ অনু. 7 খণ্ডকালীন কমিউটার বেথেলাইট হচ্ছেন সেই ব্যক্তিরা, যারা সপ্তাহে এক বা একাধিক দিন বেথেলে কাজ করেন, কিন্তু নিজেদের থাকার জায়গা ও ভরণ-পোষণের খরচ নিজেরাই চালান।