সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“প্রার্থনা-শ্রবণকারী” ঈশ্বর, আমাদের প্রার্থনা শুনে খুশি হন।—গীতসংহিতা ৬৫:২

সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভ করার জন্য ক্রমাগত প্রার্থনা করুন

সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভ করার জন্য ক্রমাগত প্রার্থনা করুন

সৃষ্টিকর্তা মানুষদের এক অদ্বিতীয় উপহার দিয়েছেন আর সেটা হল প্রার্থনায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার এবং তাঁর কাছে আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ। ভাববাদী দায়ূদ প্রার্থনা করেছিলেন: “হে প্রার্থনা-শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।” (গীতসংহিতা ৬৫:২) কিন্তু আমরা কীভাবে প্রার্থনা করতে পারি, যাতে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রার্থনা শোনেন ও আশীর্বাদ করেন?

নম্রভাবে ও আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করুন

আপনার ব্যক্তিগত প্রার্থনাগুলো আপনাকে ঈশ্বরের সামনে আপনার মনের কথা ভেঙে বলার অর্থাৎ আপনার আন্তরিক অনুভূতি জানানোর সুযোগ করে দেয়। (গীতসংহিতা ৬২:৮) হৃদয় থেকে আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করলে, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা খুশি হন।

সৃষ্টিকর্তার ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করে তাঁকে ডাকুন

সৃষ্টিকর্তার অনেক উপাধি থাকলেও তাঁর কেবল একটাই ব্যক্তিগত নাম রয়েছে। “আমিই প্রভু। আমার নাম যিহোবা।” (যিশাইয় ৪২:৮, ইজি-টু-রিড ভারশন) যিহোবা নাম পবিত্র বাক্য-এর মূল পাঠ্যাংশে প্রায় ৭,০০০ বার পাওয়া যায়। অনেক ভাববাদী সৃষ্টিকর্তার ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করে তাঁকে ডেকেছিলেন। ভাববাদী আমোষ সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে বলেছিলেন, “প্রভু তাঁর ওপরের ঘরগুলো আকাশের অধিকতর উচ্চে তৈরি করেছেন। তিনি তাঁর লোকেদের পৃথিবীর ভিত্তির ওপর স্থাপন করেছেন। . . . যিহোবা তাঁর নাম।” (আমোষ ৯:৬, ইজি-টু-রিড ভারশন) তাই, প্রার্থনা করার সময় আমাদেরও সৃষ্টিকর্তার নাম যিহোবা ব্যবহার করা উচিত।

আপনার নিজের ভাষায় প্রার্থনা করুন

আমরা যে-ভাষাতেই কথা বলি না কেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি বোঝেন। তাঁর বাক্য আমাদের এই আশ্বাস দেয়, “ঈশ্বর কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না। প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেউ ঈশ্বরের উপাসনা করে ও ন্যায় কাজ করে, ঈশ্বর এমন লোকদের গ্রহণ করেন।”—প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫, ইজি-টু-রিড ভারশন।

কিন্তু, সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ লাভ করার জন্য আমাদের প্রার্থনা করার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে হবে। পরবর্তী প্রবন্ধগুলোতে আমরা পরীক্ষা করে দেখব, আমাদের কী করতে হবে।