সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

নিজের সাথির প্রতি সম্মানপূর্বক আচরণ করা

নিজের সাথির প্রতি সম্মানপূর্বক আচরণ করা

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

নিজের সাথির প্রতি সম্মানপূর্বক আচরণ করা

উইল * বলেন: “রেচেলের যখন মন খারাপ লাগে, তখন সে অনেকক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকে। আমরা যদি কথা বলার জন্য বসি, তাহলে সে বিরক্ত হয় অথবা এমনকী সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় না। কোনোকিছুতেই কাজ হয় না বলে মনে হয়। তখন আমার ইচ্ছে হয় যেন হাল ছেড়ে দিই।”

রেচেল বলেন: “উইল বাড়ি ফিরে এসে দেখে আমি কাঁদছি। কেন আমার মন খারাপ ছিল, তা আমি তাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি কিন্তু সে আমাকে কথা শেষ করতে দেয়নি। সে বলে যে, এটা এমন গুরুতর কিছু নয় আর আমি যেন তা ভুলে যাই। এতে আমার মন আরও খারাপ হয়ে যায়।”

আপনিও কি মাঝেমধ্যে উইল অথবা রেচেলের মতো বোধ করেন? তারা উভয়েই ভাববিনিময় করতে চায় কিন্তু প্রায়ই তারা বিরক্ত হয়ে পড়ে। কেন?

পুরুষ ও স্ত্রী ভিন্নভাবে ভাববিনিময় করে থাকে আর তাদের আলাদা আলাদা চাহিদা রয়েছে। একজন স্ত্রী হয়তো খোলাখুলিভাবে ও প্রায়ই তার অনুভূতিগুলোকে ব্যক্ত করার জন্য উদ্‌গ্রীব থাকে। অন্যদিকে, অনেক পুরুষ তৎক্ষণাৎ সমস্যাগুলোর সমাধান করার ও কঠিন সমস্যাগুলোকে এড়ানোর দ্বারা শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে। তাহলে, কীভাবে আপনি এই পার্থক্যগুলোকে কাটিয়ে উঠতে ও আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীর সঙ্গে ভাববিনিময় করতে পারেন? নিজের সাথির প্রতি সম্মানপূর্বক আচরণ করার দ্বারা।

একজন সম্মাননীয় ব্যক্তি অন্যদেরকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন এবং তাদের অনুভূতিগুলোকে বোঝার চেষ্টা করেন। ছোটোবেলা থেকে আপনি হয়তো সেই লোকেদেরকে সম্মান করতে শিখেছেন যারা আপনার চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী অথবা বেশি অভিজ্ঞ। কিন্তু, বৈবাহিক জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হল, এমন কাউকে সম্মান করা যিনি আপনার সঙ্গে অনেকটা একই অবস্থানে রয়েছেন আর তিনি হলেন আপনার সাথি। “আমি জানতাম যে, ফিল তার সঙ্গে কথা বলে এমন যেকারোর কথা ধৈর্যের সঙ্গে শুনবে ও বোঝার চেষ্টা করবে,” লিন্ডা বলেন, যিনি আট বছর ধরে বিবাহিত। “আমি চেয়েছিলাম সে যেন আমার প্রতিও ঠিক একইরকম সহানুভূতি দেখায়।” খুব সম্ভবত, আপনি বন্ধুবান্ধবের আর এমনকী অপরিচিতদের কথা ধৈর্যের সঙ্গে শোনেন ও তাদের সঙ্গে সম্মানপূর্বক কথা বলেন। কিন্তু, আপনি কি আপনার সাথির প্রতিও ঠিক একইরকম বিবেচনা দেখান?

অসম্মান দেখানো পরিবারে চাপ নিয়ে আসে এবং তা তিক্ত সংঘর্ষের দিকে পরিচালিত করে। একজন বিজ্ঞ শাসক বলেছিলেন: “অশান্তির মধ্যে ঘরভর্তি খাবারের চেয়ে শান্তির মধ্যে একটুকরো শুকনো রুটি খাওয়া অনেক ভাল।” (হিতোপদেশ ১৭:১, ইজি-টু-রিড ভারসন) বাইবেল একজন স্বামীকে তার স্ত্রীর সঙ্গে সমাদর বা সম্মানপূর্বক আচরণ করতে বলে। (১ পিতর ৩:৭) “স্ত্রীর”-ও “উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় [“সম্মান,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] করে।”—ইফিষীয় ৫:৩৩.

কীভাবে আপনি সম্মানপূর্বক ভাববিনিময় করতে পারেন? বাইবেলে দেওয়া কিছু ব্যবহারিক পরামর্শ বিবেচনা করুন।

আপনার সাথির যখন কিছু বলার থাকে

প্রতিদ্বন্দ্বিতা: অনেক লোক শোনার চেয়ে কথা বলতে বেশি পছন্দ করে। আপনি কি তাদের মধ্যে একজন? “শুনিবার পূর্ব্বে” যে “উত্তর করে” বাইবেল তাকে মূর্খ বলে বর্ণনা করে। (হিতোপদেশ ১৮:১৩) তাই কথা বলার পূর্বে শুনুন। কেন? “আমার স্বামী যখন তৎক্ষণাৎ আমার সমস্যাগুলোকে সমাধান করার চেষ্টা করে না, তখন আমি তা পছন্দ করি,” কারে বলেন, যিনি ২৬ বছর ধরে বিবাহিত। “তার এমনকী আমার সঙ্গে একমত হওয়ার অথবা কেন সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটা খুঁজে বের করার দরকার নেই। আমি শুধু চাই সে যেন আমার কথা শোনে ও স্বীকার করে যে, আমার অনুভূতিগুলো যথার্থ।”

অন্যদিকে, কিছু পুরুষ ও স্ত্রী মনের কথা খুলে বলতে ইতস্তত করে এবং তাদের সাথিরা যদি তাদের অনুভূতিগুলোর কথা বলার জন্য জোরাজুরি করে, তাহলে তাতে তারা অস্বস্তি বোধ করে। লরি, যিনি সম্প্রতি বিয়ে করেছেন, তিনি দেখেছেন যে, তার স্বামী অনেক দেরি করেই তার অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করে। “আমাকে ধৈর্য ধরতে হবে,” তিনি বলেন, “আর তার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”

সমাধান: আপনার ও আপনার সাথির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার দরকার হলে, আপনারা উভয়েই যখন খোশমেজাজে থাকেন, তখন সেই বিষয়ে কথা বলুন। কী হবে যদি আপনার সাথি কথা বলতে না চান? এই বিষয়টা স্বীকার করুন যে, “মনুষ্যের হৃদয়ের পরামর্শ গভীর জলের ন্যায়; কিন্তু বুদ্ধিমান তাহা তুলিয়া আনিবে।” (হিতোপদেশ ২০:৫) আপনি যদি কুয়ো থেকে খুব তাড়াহুড়ো করে এক বালতি জল তুলতে যান, তাহলে অনেকটা জল পড়ে যাবে। একইভাবে, আপনি যদি আপনার সাথিকে মুখোমুখি হওয়ার জন্য বেশি জোর করেন, তাহলে আপনার সাথি হয়তো নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারে আর এর ফলে আপনি হয়তো তার হৃদয়ে কী আছে, তা তুলে আনার বা বের করার সুযোগ হারাতে পারেন। এর পরিবর্তে, কোমলভাবে ও সম্মানপূর্বক প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করুন আর আপনার সাথি যদি আপনি যতটা তাড়াতাড়ি চান সেই মতো তার মনের কথা খুলে না বলে, তাহলে ধৈর্য ধরুন।

আপনার সাথি যখন কথা বলেন, তখন ‘শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর হোন।’ (যাকোব ১:১৯) একজন উত্তম শ্রোতা কেবল শোনেনই না কিন্তু সেইসঙ্গে তার অনুভূতিগুলোকে বোঝারও চেষ্টা করেন। তাই, আপনার সাথি যখন কথা বলেন, তখন তার অনুভূতিগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি যেভাবে তার কথা শোনেন তা থেকে আপনার সাথি, আপনি তাকে কতটা সম্মান করেন—অথবা অসম্মান করেন—তা বুঝতে পারবেন।

কীভাবে শুনতে হবে তা যিশু আমাদের শিখিয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন অসুস্থ ব্যক্তি যখন সাহায্যের জন্য তাঁর কাছে এসেছিলেন তখন যিশু সঙ্গেসঙ্গে সমস্যাটার সমাধান করেননি। প্রথমত, তিনি সেই ব্যক্তিটির বিনতি শুনেছিলেন। এরপর, তিনি যা শুনেছিলেন তার দ্বারা তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। পরিশেষে, তিনি ব্যক্তিটিকে সুস্থ করেছিলেন। (মার্ক ১:৪০-৪২) আপনার সাথি যখন কথা বলেন, তখন একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। মনে রাখুন যে, খুব সম্ভবত তিনি কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান নয় বরং আন্তরিক সহানুভূতি পেতে চাইছেন। তাই মন দিয়ে শুনুন। তার আবেগ অনুভব করুন। আর এরপরই আপনার সাথির প্রয়োজনগুলো মেটান। তা করার দ্বারা আপনি আপনার সাথির প্রতি সম্মান দেখাবেন।

এটা করে দেখুন: পরের বার আপনার সাথি যখন আপনার সঙ্গে কথা বলা শুরু করবেন, তখন সঙ্গেসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রবণতাকে প্রতিরোধ করুন। আপনার সাথি কথা বলা শেষ না করা এবং তিনি যা বলেছেন তা না বোঝা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পরে, আপনার সাথির কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করুন, “তুমি কি অনুভব করেছ যে, আমি মন দিয়ে তোমার কথা শুনছিলাম?”

যখন আপনার কিছু বলার থাকে

প্রতিদ্বন্দ্বিতা: “কমেডি শোগুলোতে একজনের সাথির বিষয়ে খারাপ কথা বলা এবং অপমান ও ব্যাঙ্গ করাকে সাধারণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়,” লিন্ডা বলেন, যার কথা আগে বলা হয়েছে। কেউ কেউ এমন পরিবারগুলোতে বড়ো হয়ে ওঠে যেখানে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা সাধারণ বিষয়। পরবর্তীকালে, তারা যখন বিয়ে করে, তখন তারা তাদের নিজ পরিবারের এই ধারাকে এড়িয়ে চলা কঠিন বলে মনে করে। আইভি, যিনি কানাডায় বসবাস করেন, তিনি বলেন: “আমি এমন এক পরিবেশে বড়ো হয়েছিলাম যেখানে উপহাস, চিৎকার-চেঁচামেচি করা ও অপমানজনক নামে ডাকা সাধারণ বিষয় ছিল।”

সমাধান: আপনি যখন অন্যদের কাছে আপনার সাথির বিষয়ে কথা বলেন, তখন “প্রয়োজনমতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ” করুন “যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।” (ইফিষীয় ৪:২৯) আপনার সাথি সম্বন্ধে আপনি এমনভাবে কথা বলুন যা অন্যদেরকেও তাকে সম্মান করতে পরিচালিত করবে।

এমনকী আপনি যখন আপনার সাথির সঙ্গে একাকী থাকেন, তখন উপহাস করা ও অপমানজনক নামে ডাকার প্রবণতাকে প্রতিরোধ করুন। প্রাচীনকালে, মীখল তার স্বামী রাজা দায়ূদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ব্যাঙ্গাত্মকভাবে কথা বলেছিলেন আর বলেছিলেন যে, “কোন অসারচিত্ত লোক যেমন” দায়ূদ সেরকম আচরণ করেছিলেন। তার কথাগুলোতে দায়ূদ অপমানিত বোধ করেছিলেন ও সেইসঙ্গে তা ঈশ্বরকেও অসন্তুষ্ট করেছিল। (২ শমূয়েল ৬:২০-২৩) শিক্ষণীয় বিষয়টা কী? আপনি যখন আপনার সাথির সঙ্গে কথা বলেন, তখন মনোযোগপূর্বক আপনার শব্দগুলোকে বাছাই করুন। (কলসীয় ৪:৬) ফিল, যিনি আট বছর ধরে বিবাহিত, তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি ও তার স্ত্রী এখনও বিভিন্ন বিষয়ে একমত হন না। তিনি লক্ষ করেছেন যে, কখনো কখনো তিনি এমন কিছু বলেন যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে। “আমি এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, কোনো তর্কবিতর্কে ‘জয়ী হওয়া’ হল আসলে পরাজিত হওয়া। আমি মনে করি যে, আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করা আরও বেশি পরিতৃপ্তিদায়ক ও উপকারজনক।

প্রাচীনকালে একজন বয়স্ক বিধবা তার বউমাকে ‘স্বামীর বাটীতে বিশ্রাম পাইতে’ উৎসাহিত করেছিলেন। (রূতের বিবরণ ১:৯) যখন স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করে, তখন তারা তাদের গৃহকে “বিশ্রাম” স্থান করে তোলে।

এটা করে দেখুন: আপনার সাথির সঙ্গে এই উপশিরোনামের নীচে দেওয়া পরামর্শগুলো আলোচনা করার জন্য সময় আলাদা করে রাখুন। আপনার সাথিকে জিজ্ঞেস করুন: “আমি যখন জনসাধারণ্যে তোমার সম্বন্ধে কথা বলি, তখন তুমি কি সেটাকে সম্মানজনক বলে মনে করো নাকি হীন বলে মনে করো? উন্নতি করার জন্য আমার কোন রদবদলগুলো করা দরকার?” আপনার সাথি যখন তার অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করেন, তখন মন দিয়ে তা শুনুন। আপনি যে-পরামর্শগুলো শোনেন, সেগুলোকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন।

আপনার সঙ্গীর ভিন্নতাগুলোকে মেনে নিন

প্রতিদ্বন্দ্বিতা: কিছু নবদম্পতি ভুলবশত এই উপসংহারে এসেছে যে, বাইবেল যেটাকে ‘একাঙ্গ হওয়া’ বলে সেটার অর্থ হল যে, দম্পতির অবশ্যই একইরকম মত থাকবে অথবা তাদের ব্যক্তিত্ব একই ধরনের হবে। (মথি ১৯:৫) কিন্তু, শীঘ্র তারা দেখতে পায় যে, এটা হল আদর্শবাদী চিন্তাভাবনা। বিবাহিত হওয়ার কিছু সময় পর, তাদের ভিন্নতাগুলো প্রায়ই তর্কবিতর্কের দিকে মোড় নেয়। লিন্ডা বলেন: “আমাদের মধ্যে একটা বড়ো ভিন্নতা হল যে, ফিল আমার চেয়ে কম উদ্‌বিগ্ন হয়। কখনো কখনো আমি যখন উদ্‌বেগের মধ্যে থাকি, তখন সে খোশমেজাজে থাকে, তাই আমি রেগে যাই কারণ মনে হয় যে, কোনো বিষয় নিয়ে আমি যতটা চিন্তা করি, সে ততটা করে না।”

সমাধান: আপনারা যেমন, সেইভাবেই একে অপরকে মেনে নিন আর আপনার সাথির মধ্যে যে-ভিন্নতা রয়েছে, সেটাকে সম্মান করুন। উদাহরণস্বরূপ: আপনার চোখ আপনার কানের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে; তবুও সেগুলো সহযোগিতা করে, ফলে আপনি নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারেন। এড্রিন, যিনি প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বিবাহিত, তিনি বলেন: “যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঈশ্বরের বাক্যকে লঙ্ঘন করে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার স্বামী ও আমি একে অপরের ভিন্ন মতকে মেনে নিই। সর্বোপরি, আমরা বিবাহিত, একই ব্যক্তি নই।”

আপনার সাথি যখন আপনার চেয়ে ভিন্ন মত অথবা প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে থাকেন, তখন কেবল আপনার নিজের আগ্রহগুলোর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন না। আপনার সাথির অনুভূতিগুলোর প্রতি বিবেচনা দেখান। (ফিলিপীয় ২:৪) এড্রিনের স্বামী কাইল স্বীকার করেন: “বিভিন্ন বিষয়ে আমার স্ত্রীর মতামতকে আমি সবসময় বুঝতে পারি না অথবা সেগুলোর সঙ্গে একমত হই না। কিন্তু আমি নিজেকে এই কথা মনে করিয়ে দিই যে, আমি নিজের মতের চেয়ে তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। সে যখন খুশি হয়, তখন প্রকৃতপক্ষে আমিও খুশি হই।”

এটা করে দেখুন: সেই বিষয়গুলোর একটা তালিকা করুন যেগুলোতে আপনার সাথির দৃষ্টিভঙ্গি অথবা তিনি যেভাবে বিষয়গুলোকে পরিচালনা করেন তা আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।—ফিলিপীয় ২:৩.

সম্মান দেখানো হল এক সুখী ও স্থায়ী বিবাহের একটা চাবিকাঠি। “সম্মান দেখানো বিবাহে সন্তুষ্টি ও সুরক্ষা নিয়ে আসে,” লিন্ডা বলেন। “এটা গড়ে তোলার অবশ্যই মূল্য রয়েছে।” (w১১-E ০৮/০১)

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

কীভাবে আমার সাথির ভিন্নতাগুলো আমাদের পরিবারকে উন্নত করেছে?

যেখানে বাইবেলের নীতিগুলোকে লঙ্ঘন করা হয় না সেখানে আমার সাথির পছন্দকে মেনে নেওয়া কেন উত্তম?