সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সন্তানদের দায়িত্বশীল হতে শিক্ষা দেওয়া

সন্তানদের দায়িত্বশীল হতে শিক্ষা দেওয়া

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

সন্তানদের দায়িত্বশীল হতে শিক্ষা দেওয়া

সুজয়: * “প্রতিটা সন্ধ্যায় একই ঘটনা ঘটত। আমার চার বছরের ছেলে সুদীপ, তার খেলনাগুলো ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে রাখত। তাকে ঘুম পাড়ানোর আগে আমি তাকে দিয়ে খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সুদীপ রাগে ফেটে পড়ত, চিৎকার-চ্যাঁচামেচি এবং খারাপ ব্যবহার করত। কখনো কখনো আমি এত বিরক্ত হয়ে উঠতাম যে, আমি তার ওপর চিৎকার করতাম কিন্তু সেটার ফলে আমরা দুজনেই খুব খারাপ বোধ করতাম। আমি চাইতাম ঘুমানোর সময়টা যেন শান্তিপূর্ণ থাকে। তাই আমি চেষ্টা করা ছেড়ে দিয়ে নিজেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খেলনাগুলোকে গুছিয়ে রাখতাম।”

প্রীতি: “সমস্যার সূত্রপাত তখনই হয়েছিল যখন আমার ১৩ বছর বয়সি মেয়ে সুমিতার, স্কুলের কোনো কার্যভার সম্বন্ধে তার শিক্ষিকার চাহিদাগুলোকে বোঝা কঠিন হয়েছিল। সুমিতা স্কুল থেকে বাড়ি আসার পর এক ঘন্টা ধরে কেঁদেছিল। আমি তাকে স্কুলে সাহায্য চাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলাম কিন্তু সুমিতা জোরের সঙ্গে বলেছিল যে, তার শিক্ষিকা নির্দয়, তাই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার মতো সাহস তার ছিল না। আমার মনে হয়েছিল যেন আমি তক্ষুনি স্কুলে যাই আর শিক্ষিকাকে যাচ্ছেতাই বলে আসি। আমি মনে করেছিলাম যে, কারোরই আমার মেয়েকে দুঃখ দেওয়ার অধিকার নেই!”

আপনি কি কখনো সুজয় ও প্রীতির মতো একইরকম অনুভব করেন? সেই বাবা-মাদের মতো অনেকেই তাদের সন্তানকে সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে অথবা দুঃখার্ত হতে দেখাকে কঠিন বলে মনে করে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, বাবা-মারা তাদের সন্তানদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। কিন্তু, ওপরে বর্ণিত পরিস্থিতিগুলো প্রকৃতপক্ষে, দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে তাদের সন্তানকে এক মূল্যবান শিক্ষা দেওয়ার জন্য সেই বাবা-মাদের কাছে এক সুযোগ প্রদান করেছিল। অবশ্য, ৪ বছরের একটা ছেলে এবং ১৩ বছরের একটা মেয়ে যে-শিক্ষা শিখতে পারে তা ভিন্ন হবে।

কিন্তু সত্যটা হল যে, আপনি আপনার সন্তানকে জীবনের সমস্যাগুলো থেকে আড়াল করে রাখার জন্য সবসময় উপস্থিত থাকবেন না। পরিশেষে, সন্তান তার বাবা ও মাকে ছেড়ে যাবে এবং দায়িত্ব সম্বন্ধীয় “নিজ নিজ ভার বহন” করবে। (গালাতীয় ৬:৫; আদিপুস্তক ২:২৪) নিজেদের ভরণপোষণ করতে সন্তানদের সমর্থ করার জন্য বাবা-মাদেরকে অবশ্যই সন্তানদেরকে নিঃস্বার্থ, যত্নবান ও দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখতে হবে। তা সহজ কাজ নয়!

আনন্দের বিষয় হল যে, বাবা-মাদের কাছে যিশু ও তিনি যেভাবে তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে আচরণ করেছিলেন এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যে-পদ্ধতিগুলো তিনি ব্যবহার করেছিলেন, সেই সম্বন্ধে অনুকরণযোগ্য এক চমৎকার আদর্শ রয়েছে। যিশুর নিজের কোনো সন্তান ছিল না। কিন্তু তাঁর শিষ্যদেরকে বেছে নেওয়ার ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, এমনকী তিনি চলে যাওয়ার পরেও সেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে শক্তিশালী করা। (মথি ২৮:১৯, ২০) যিশু যা সম্পাদন করেছিলেন তা, সন্তানদেরকে দায়িত্বশীল করে তোলার বিষয়ে প্রত্যেক বাবা অথবা মা যে-লক্ষ্য অর্জন করার আশা করেন সেটার সমান। বাবা-মাদের জন্য যিশু যে-উদাহরণ স্থাপন করেছেন, সেটার কেবল তিনটে দিক বিবেচনা করুন।

আপনার সন্তানকে ‘দৃষ্টান্ত দেখান’ তাঁর জীবনের একেবারে শেষের দিকে যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম, যেন তোমাদের প্রতি আমি যেমন করিয়াছি, তোমরাও তদ্রূপ কর।” (যোহন ১৩:১৫) একইভাবে, প্রকৃতপক্ষে দায়িত্বশীল হওয়ার অর্থ কী, তা বাবা-মাদের ব্যাখ্যা করা ও উদাহরণের মাধ্যমে দেখানো প্রয়োজন।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমি কি আমার নিজের দায়িত্বগুলো পালন করার বিষয়ে প্রায়ই ইতিবাচকভাবে কথা বলি? অন্যদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার ফলে আমি যে-সন্তুষ্টি লাভ করি, সেই সম্বন্ধে আমি কি কথা বলি? অথবা আমি কি প্রায়ই অভিযোগ করি এবং নিজেকে সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে তুলনা করি যারা আরামে জীবন কাটায় বলে মনে হয়?’

এটা ঠিক যে, কেউই সিদ্ধ নয়। আমরা সকলেই কখনো কখনো ভারগ্রস্ত বোধ করি। কিন্তু আপনার উদাহরণ সম্ভবত আপনার সন্তানদের দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব ও মূল্য বুঝতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জোরালো উপায়।

এটা করে দেখুন: যদি সম্ভব হয়, তাহলে মাঝেমধ্যে আপনার সন্তানকে নিজের সঙ্গে কর্মস্থলে নিয়ে যান এবং পরিবারকে আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য আপনি কী করেন তা তাকে দেখান। আপনার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এমন কাউকে সাহায্য করুন যার সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর, সেই দায়িত্ব পালন করার ফলে আপনি যে-আনন্দ লাভ করেন সেই সম্বন্ধে আলোচনা করুন।—প্রেরিত ২০:৩৫.

যুক্তিযুক্ত প্রত্যাশাগুলো করুন যিশু বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর শিষ্যরা যে-ভূমিকা ও দায়িত্বগুলো গ্রহণ করুক বলে তিনি আশা করেছিলেন সেগুলো গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে তাদের সময়ের দরকার হবে। একবার তিনি তাদের বলেছিলেন: “তোমাদিগকে বলিবার আমার আরও অনেক কথা আছে, কিন্তু তোমরা এখন সে সকল সহ্য করিতে পার না।” (যোহন ১৬:১২) যিশু সঙ্গেসঙ্গে তাঁর শিষ্যদেরকে নিজে থেকে কিছু করতে বলেননি। এর পরিবর্তে, তাদেরকে অনেককিছু শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি অনেক সময় ব্যয় করেছিলেন। একমাত্র যখন তিনি মনে করেছিলেন যে, তারা সক্ষম তখনই যিশু তাঁর শিষ্যদেরকে নিজে নিজে যাওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন।

একইভাবে, বাবা-মাদের তাদের সন্তানদেরকে, প্রস্তুত হওয়ার আগেই প্রাপ্তবয়স্কদের দায়িত্বগুলো গ্রহণ করতে বলা অযৌক্তিক। তারপরও, সন্তানরা বড়ো হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে বাবা-মাদের এটা নির্ধারণ করা উচিত যে, তাদের জন্য কোন কার্যভারগুলো উপযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, বাবা-মাদের তাদের সন্তানদেরকে তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দায়িত্বশীল হতে, তাদের ঘর পরিষ্কার করতে, সময়ানুবর্তী হতে এবং বিজ্ঞতার সঙ্গে টাকাপয়সাকে খরচ করতে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। একজন সন্তান যখন স্কুলে যেতে শুরু করে, তখন বাবা-মাদের এটা আশা করা উচিত যে, সন্তান যেন তার স্কুলের কাজকে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে দেখে যেটা তাকে অবশ্যই পালন করতে হবে।

বাবা-মাদের, তাদের সন্তানদের দায়িত্বগুলো অর্পণ করার চেয়েও আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন। সফল হওয়ার জন্য সন্তানদের প্রচেষ্টাকে তাদের অবশ্যই সমর্থনও করতে হবে। সুজয়, যে-বাবার বিষয়ে আগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, তার খেলনাগুলোকে তুলে রাখার বিষয়ে সুদীপের বিরক্ত হওয়ার আংশিক কারণ ছিল যে, সেই কাজটা তার কাছে ভারী বলে মনে হতো। “তার খেলনাগুলো তুলে রাখার জন্য সুদীপের ওপর শুধু শুধু চিৎকার করার পরিবর্তে,” সুজয় বলেন, “আমি তাকে কাজটা সম্পূর্ণ করার জন্য একটা পদ্ধতি শেখানোর চেষ্টা করতাম।”

নির্দিষ্টভাবে তিনি কী করেছিলেন? “প্রথমে,” সুজয় বলেন, “প্রতিটা রাতে খেলনাগুলো তুলে রাখার জন্য আমি এক নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছিলাম। এরপর, ঘরের একটা অংশ এক এক করে গোছানোর সময় আমি সুদীপের সঙ্গে যোগ দিতাম। আমি কাজটাকে এক খেলার মতো করে তুলেছিলাম, এমনকী কে দ্রুত কাজ করতে পারে সেটা দেখার জন্য এটাকে একটা প্রতিযোগিতায় পরিণত করেছিলাম। শীঘ্র, এই পদ্ধতিটা ঘুমাতে যাওয়ার রুটিনের অংশ হয়ে উঠেছিল। আমি সুদীপকে কথা দিয়েছিলাম যে, সে যদি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে ফেলে, তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাকে আমি আরও একটা গল্প পড়ে শোনাব। কিন্তু সে যদি সময়ের মধ্যে সেগুলো না করে, তাহলে গল্প শোনানোর সময় কাটা যাবে।”

এটা করে দেখুন: আপনার পরিবারকে নির্বিঘ্নে চালানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আপনার প্রত্যেকটা সন্তান কী করবে বলে যুক্তিযুক্তভাবে আশা করা যেতে পারে, তা বিশ্লেষণ করুন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এমন কিছু কাজ কি রয়েছে যেগুলো আমি আমার সন্তানদের জন্য এখনও করে চলেছি, যেগুলো তারা নিজেরাই করতে পারে?’ যদি তাই-ই হয়, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি নিশ্চিত হন যে, তারা নিজেরাই কাজটা সামলাতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার সন্তানদের সঙ্গে কাজ করুন। এটা স্পষ্ট করুন যে, সন্তানরা তাদেরকে দেওয়া কাজটা কতটা ভালোভাবে করবে, সেটার ওপর নির্ভর করেই ভালো অথবা মন্দ পরিণতিগুলো হবে। এরপর, হয় পরিণতিগুলোকে প্রয়োগ করুন নতুবা পুরস্কারগুলো প্রদান করুন।

নির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করুন প্রত্যেকটি উত্তম শিক্ষকের মতো যিশুও জানতেন যে, শেখার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে তা কাজে করা। উদাহরণস্বরূপ, যিশু যখন মনে করেছিলেন যে সময় উপযুক্ত ছিল, তখন তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে “আপনি যেখানে যেখানে যাইতে উদ্যত ছিলেন, সেই সমস্ত নগরে ও স্থানে আপনার অগ্রে দুই দুই জন করিয়া” পাঠিয়েছিলেন। (লূক ১০:১) কিন্তু, তিনি তাদেরকে কোনো নির্দেশনা ছাড়াই পাঠাননি। তাদেরকে পাঠানোর আগে, তিনি তাদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাগুলো প্রদান করেছিলেন। (লূক ১০:২-১২) শিষ্যরা যখন ফিরে এসেছিল এবং তাদের সফলতা সম্বন্ধে বলেছিল, তখন যিশু তাদের প্রশংসা ও উৎসাহিত করেছিলেন। (লূক ১০:১৭-২৪) তিনি তাদের ক্ষমতার ওপর তাঁর আস্থা এবং তাঁর অনুমোদন উভয়ই প্রকাশ করেছিলেন।

আপনার সন্তানরা যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দায়িত্বগুলোর মুখোমুখি হয়, তখন আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান? আপনি কি আপনার সন্তানরা যে-বিষয়গুলোকে ভয় পায় সেগুলো থেকে তাদেরকে আড়াল করার, তাদেরকে নিরুৎসাহিতা এবং ব্যর্থতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন? হয়তো আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া হবে, আপনার সন্তানকে “উদ্ধার” করা অথবা নিজের ওপর ভার তুলে নেওয়া।

কিন্তু বিবেচনা করুন: প্রত্যেক বার, আপনি যখন তাড়াহুড়ো করেন এবং কোনো না কোনোভাবে আপনার সন্তানদেরকে “রক্ষা” করেন, তখন আপনি কী ইঙ্গিত করছেন? আপনি কি ইঙ্গিত করছেন যে, তাদের ওপর আপনার আস্থা এবং তাদের ক্ষমতার ওপর আপনার বিশ্বাস রয়েছে? অথবা আপনি তাদেরকে বলছেন যে, আপনি এখনও তাদেরকে অসহায় শিশুর মতো ভাবেন যাদেরকে সমস্তকিছুর জন্য অবশ্যই আপনার ওপর নির্ভর করতে হবে?

উদাহরণস্বরূপ, আগে উল্লেখিত প্রীতি, কীভাবে তার মেয়ের সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন? হস্তক্ষেপ করার পরিবর্তে, তিনি স্থির করেছিলেন যে, সুমিতা যেন সরাসরি শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে। প্রীতি ও সুমিতা একসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের একটা তালিকা তৈরি করেছিল যেটা সুমিতা স্কুলে নিয়ে যেতে পারে। এরপর তারা আলোচনা করেছিল যে, কখন শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে হবে। কীভাবে কথোপকথন হতে পারে, তারা এমনকী সেটার মহড়াও দিয়েছিল। “সুমিতা তার শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য সাহস সঞ্চয় করেছিল,” প্রীতি বলেন, “আর নিজে থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তার শিক্ষিকা তার প্রশংসা করেছিলেন। সুমিতা নিজের বিষয়ে খুবই গর্বিত ছিল—আর আমিও তাকে নিয়ে গর্বিত ছিলাম।”

এটা করে দেখুন: আপনার সন্তান মুখোমুখি হয় এমন একটা সাম্প্রতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে লিখুন। প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশেই লিখুন যে, আপনার সন্তানকে “উদ্ধার” না করেই সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করতে তাকে সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য যে-পদক্ষেপগুলো নেওয়া আবশ্যক, আপনার সন্তানের সঙ্গে সেগুলোর মহড়া দিন। সন্তানের ক্ষমতার ওপর আপনার আস্থা প্রকাশ করুন।

আপনি যদি সবসময় আপনার সন্তানদেরকে সমস্যা থেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি হয়তো বস্তুতপক্ষে, জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোকে গ্রহণ করার জন্য তাদের ক্ষমতা প্রকাশ করায় বাধা দিচ্ছেন। এর পরিবর্তে, দায়িত্বগুলো গ্রহণ করতে শিক্ষা দেওয়ার দ্বারা আপনার সন্তানদের শক্তিশালী করুন। তা করা হবে সবচেয়ে মূল্যবান উপহারগুলোর মধ্যে একটা যা আপনি তাদেরকে দিতে পারেন। (w১০-E ০৫/০১)

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

▪ আমার সন্তানদের কাছ থেকে আমার কি বাস্তবসম্মত প্রত্যাশাগুলো রয়েছে?

▪ সফল হওয়ার জন্য তাদের কী করা প্রয়োজন সেটা কি আমি তাদের বলি এবং তা করে দেখাই?

▪ শেষ কখন আমি আমার সন্তানকে উৎসাহিত করেছিলাম বা তার প্রশংসা করেছিলাম?