সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কখনো আশা ছেড়ে দেবেন না!

কখনো আশা ছেড়ে দেবেন না!

কখনো আশা ছেড়ে দেবেন না!

আপনি কি এমন একজন দীর্ঘসময়ের যিহোবার সাক্ষি, যিনি নিজের বিবাহসাথিকে যিহোবার উপাসনায় সঙ্গে পেলে খুশি হবেন?

কিংবা আপনি কি সেই সময়ে নিরুৎসাহিত হয়েছিলেন, যখন আপনার কোনো বাইবেল ছাত্রকে প্রথমে আগ্রহী বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু পরে তিনি সত্যের পক্ষ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন?

ব্রিটেনের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, আপনার কখনো আশা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আপনি এটাও দেখতে পাবেন, যারা এখনও সত্যের প্রতি সাড়া দেয়নি তাদের সাহায্য করার জন্য, রূপকভাবে বললে, ‘জলের উপরে আপন ভক্ষ্য ছড়াইয়া দেওয়ার’ ব্যাপারে আপনি কী করতে পারেন।—উপ. ১১:১.

অধ্যবসায়—এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

আপনার দিক থেকে একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অধ্যবসায়ী হওয়া। আপনাকে সত্যের প্রতি অনুগত এবং যিহোবার প্রতি আসক্ত থাকতে হবে। (দ্বিতীয়. ১০:২০) খেয়রখিনা ঠিক সেটাই করেছিলেন। তিনি যখন ১৯৭০ সালে যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিলেন, তখন তার স্বামী কিরিয়াকস প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন। তিনি খেয়রখিনার অধ্যয়ন বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, ঘরে সাক্ষিদের আসতে দিতেন না এবং খেয়রখিনার কাছ থেকে যিহোবার সাক্ষিদের যেকোনো প্রকাশনা নিয়ে নিতেন।

খেয়রখিনা যখন মণ্ডলীর সভাগুলোতে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন, তখন কিরিয়াকস এমনকী আরও রেগে গিয়েছিলেন। একদিন তিনি ঝগড়া করার জন্য কিংডম হলে গিয়েছিলেন। কিরিয়াকস যে ইংরেজির চেয়ে গ্রিক ভাষায় আরও ভালোভাবে কথা বলতে পারেন সেটা বুঝতে পেরে, একজন বোন আরেকটা মণ্ডলীর একজন গ্রিক ভাইকে ফোন করে সাহায্য করার জন্য আসতে বলেছিলেন। কিরিয়াকস সেই ভাইয়ের সদয় ব্যবহারের প্রতি ভালোভাবে সাড়া দিয়েছিলেন এবং কয়েক মাসের জন্য তারা এমনকী একসঙ্গে বাইবেল অধ্যয়নও করেছিল। কিন্তু তার পর, কিরিয়াকস অধ্যয়ন করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আরও তিন বছর ধরে, খেয়রখিনা বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিরিয়াকস বলেছিলেন, খেয়রখিনা যদি কখনো বাপ্তিস্ম নেয়, তাহলে তিনি তাকে ছেড়ে চলে যাবেন। খেয়রখিনা তার বাপ্তিস্মের দিন যিহোবার কাছে ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করেছিলেন যেন কিরিয়াকস তাকে ছেড়ে চলে না যায়। সাক্ষিরা যখন খেয়রখিনাকে সম্মেলনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল, তখন কিরিয়াকস তাদের বলেছিলেন: “আপনারা এগোন। আমরা আমাদের গাড়িতে করে আপনাদের পিছন পিছন আসছি।” তিনি সকালের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন এবং নিজের স্ত্রীকে বাপ্তিস্ম নিতে দেখেছিলেন!

এরপর, কিরিয়াকস বিরোধিতা করা কমিয়ে দিয়েছিলেন আর তিনি ধীরে ধীরে বড়ো বড়ো পরিবর্তন করেছিলেন। যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার প্রায় ৪০ বছর পর, খেয়রখিনা তার স্বামীকে বাপ্তিস্ম নিতে দেখেছিলেন! কোন বিষয়টা কিরিয়াকসকে সাহায্য করেছিল? তিনি বলেন: “আমি খেয়রখিনার ওপর খুবই খুশি ছিলাম কারণ সে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিল।” খেয়রখিনা বলেন: “আমার স্বামীর বিরোধিতা সত্ত্বেও, আমি আমার ঈশ্বরের উপাসনা করা থেকে বিরত হইনি। সবসময় আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছি আর আমি কখনো আশা ছেড়ে দিইনি।”

নতুন ব্যক্তিত্বের মূল্য

আপনার সাথিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় হল খ্রিস্টীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা। প্রেরিত পিতর খ্রিস্টান স্ত্রীদের বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছিলেন: “হে ভার্য্যা সকল, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হও; যেন কেহ কেহ যদিও বাক্যের অবাধ্য হয়, তথাপি . . . বাক্য বিহীনে আপন আপন ভার্য্যার আচার ব্যবহার দ্বারা তাহাদিগকে লাভ করা হয়।” (১ পিতর ৩:১, ২) ক্রিস্টিন সেই পরামর্শ কাজে লাগিয়েছিলেন, যদিও তার স্বামীর মন জয় করার জন্য তার ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে যখন তিনি একজন যিহোবার সাক্ষি হয়েছিলেন, তখন তার স্বামী জন ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন না। যদিও জন নিজে ধর্মের সঙ্গে জড়িত হতে চাইতেন না, কিন্তু তিনি এটা বুঝতে পারতেন যে, ক্রিস্টিনের নতুন বিশ্বাস ক্রিস্টিনের জন্য কতটা অর্থ রাখে। “আমি বুঝতে পারতাম, এটা তাকে সুখী করে তুলেছিল,” তিনি বলেন। “সে সত্যিকারের মনোবল গড়ে তুলেছিল ও আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল আর এটা আমাকে বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সাহায্য করেছে।”

ক্রিস্টিন কখনোই তার ধর্ম গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য স্বামীকে জোরাজুরি করতেন না আর তার স্বামী স্বীকার করেছিলেন: “ক্রিস্টিন শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে, আমাকে আমার মতো থাকতে দেওয়াই সর্বোত্তম আর সে ধৈর্য সহকারে আমাকে আমার গতিতে এবং আমার মতো করেই শিখতে দিয়েছিল।” ক্রিস্টিন যখন প্রহরীদুর্গ অথবা সচেতন থাক! পত্রিকায় এমন কোনো প্রবন্ধ দেখতে পেতেন, যেটি জনের ভালো লাগবে বলে তিনি মনে করতেন, যেমন, বিজ্ঞান ও প্রকৃতির ওপর কোনো প্রবন্ধ, তখন জনকে সেটা দেখিয়ে বলতেন, “আমার মনে হয় এটা পড়তে তোমার ভালো লাগবে।”

পরবর্তী সময়ে, জন অবসর নিয়েছিলেন এবং বাগানে কিছু কাজ করতে শুরু করেছিলেন। জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্বন্ধে চিন্তা করার জন্য তখন আরও বেশি সময় থাকায়, তিনি ভাবতে শুরু করেছিলেন, ‘আমরা কি হঠাৎ করেই অস্তিত্বে এসেছি, নাকি আমাদের কোনো উদ্দেশ্যের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে?’ একদিন, জন যখন একজন ভাইয়ের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন, তখন সেই ভাই তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “অধ্যয়ন শুরু করলে কেমন হয়?” “এখন যেহেতু আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি,” জন বলেন, “তাই আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলাম।”

ক্রিস্টিন যে কখনো আশা ছেড়ে দেননি, সেটা কতই না গুরুত্বপূর্ণ ছিল! জন যেন সত্য গ্রহণ করে নেন, সেই বিষয়ে ক্রিস্টিন ২০ বছর ধরে প্রার্থনা করার পর, জন বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন। এখন তারা একসঙ্গে উদ্যোগ সহকারে যিহোবার সেবা করে। জন বলেন: “বিশেষভাবে দুটো বিষয় আমার মন জয় করেছিল—সাক্ষিদের দয়া এবং বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব। আর আপনার বিবাহসাথি যদি যিহোবার সাক্ষি হয়, তাহলে আপনার একজন অনুগত, আস্থাভাজন এবং আত্মত্যাগী সঙ্গী রয়েছে।” হ্যাঁ, ক্রিস্টিন ১ পিতর ৩:১, ২ পদ কাজে লাগিয়েছিলেন আর সেটা ফলপ্রসূ হয়েছিল!

যে-বীজ বহু বছর পর ফল উৎপন্ন করে

এমন বাইবেল ছাত্রদের বিষয়ে কী বলা যায়, যারা কোনো না কোনো কারণে তাদের প্রথম প্রথম যে-আগ্রহ ছিল, তা হারিয়ে ফেলেছে? “তুমি প্রাতঃকালে আপন বীজ বপন কর, এবং সায়ংকালেও হস্ত নিবৃত্ত করিও না। কেননা ইহা কিম্বা উহা, কোন্‌টা সফল হইবে, কিম্বা উভয় সমভাবে উৎকৃষ্ট হইবে, তাহা তুমি জান না।” (উপ. ১১:৬) মাঝে মাঝে সত্যের বীজ অঙ্কুরিত হতে অনেক বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু তার পরও, একজন ব্যক্তি হয়তো একসময় ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। (যাকোব ৪:৮) হ্যাঁ, কোনো একদিন আপনি আনন্দদায়ক পুরস্কার পেতে পারেন।

অ্যালিসের কথা বিবেচনা করুন, যিনি ভারত থেকে ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দি ভাষায় কথা বলতেন, কিন্তু তিনি ইংরেজি ভাষায় আরও দক্ষ হতে চেয়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে সেই অধ্যয়ন চলেছিল আর অ্যালিস ইংরেজিভাষী মণ্ডলীর কয়েকটা সভাতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, তিনি যা অধ্যয়ন করছেন সেটা সত্য, কিন্তু তিনি শখের বশে অধ্যয়ন করছিলেন। তা ছাড়া, তার টাকাপয়সার প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল আর তিনি পার্টিতে যেতে অনেক পছন্দ করতেন। একসময়, অ্যালিস অধ্যয়ন করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

প্রায় ৩০ বছর পরে স্টেলা, যিনি অ্যালিসের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতেন, তিনি অ্যালিসের কাছ থেকে একটা চিঠি পেয়েছিলেন। সেখানে বলা আছে: “আমি জানি, আপনি এটা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যে, আপনার ১৯৭৪ সালের একজন বাইবেল ছাত্রী সম্প্রতি জেলা সম্মেলনে বাপ্তিস্ম নিয়েছে। আপনি আমার জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করেছেন। আপনি আমার মধ্যে সত্যের বীজ বপন করেছিলেন আর যদিও আমি সেই সময়ে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, কিন্তু আমি আমার মন ও হৃদয়ে সত্যের সেই বীজ ধারণ করে রেখেছিলাম।”

কী ঘটেছিল? অ্যালিস ব্যাখ্যা করেন যে, ১৯৯৭ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর কারণে তিনি অনেক বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। প্রার্থনার দশ মিনিটের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবিভাষী সাক্ষি তার ঘরে এসে তাকে মৃত প্রিয়জনদের জন্য কী আশা? শিরোনামের ট্র্যাক্ট দিয়ে গিয়েছিল। অ্যালিস অনুভব করতে পেরেছিলেন, তার প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হয়েছে আর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে তার মেলামেশা করা উচিত। কিন্তু, তাদেরকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে? তিনি তারই একটা পুরোনো ডায়েরি খুঁজে পান, যেখানে স্টেলার দেওয়া পাঞ্জাবি মণ্ডলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিকানা ছিল। অ্যালিস কিংডম হলে গিয়েছিলেন আর সেখানে পাঞ্জাবিভাষী ভাই ও বোনেরা তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছিল। “আমি তাদের সেই আন্তরিক অনুভূতি ভুলতে পারিনি আর এটা আমাকে আমার বিষণ্ণতার সময়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিল,” অ্যালিস বলেন।

তিনি নিয়মিতভাবে সভাতে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন, আবারও বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন এবং পাঞ্জাবি ভাষা সাবলীলভাবে পড়তে ও লিখতে শিখেছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন। স্টেলার উদ্দেশে লেখা তার চিঠির শেষে এভাবে বলা আছে, “২৯ বছর আগে আমার মধ্যে সেই বীজ বপন আর আমার অনুসরণের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছেন বলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

এই অভিজ্ঞতাগুলো থেকে আপনি কী শিখতে পারেন? আপনি যতটা প্রত্যাশা করেন, যদিও তার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে, কিন্তু একজন ব্যক্তি যদি আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষুধার্ত, সৎ এবং নম্র হয়, তাহলে যিহোবা সেই ব্যক্তির হৃদয়ে সত্যকে বৃদ্ধি পেতে দেবেন। যিশুর দৃষ্টান্তের এই উক্তি স্মরণ করুন: “ঐ বীজ অঙ্কুরিত হইয়া বাড়িয়া উঠে, কিরূপে, তাহা [বীজবাপক] জানে না। ভূমি আপনা আপনি ফল উৎপন্ন করে; প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ, তাহার পর শীষের মধ্যে পূর্ণ শস্য।” (মার্ক ৪:২৭, ২৮) এই বৃদ্ধি ধীরে ধীরে এবং “আপনা আপনি” হয়। বাস্তবে, কোনো রাজ্য ঘোষণাকারীই জানে না যে, কীভাবে তা ঘটে। তাই, প্রচুর বীজ বপন করে চলুন। তাহলে আপনি হয়তো প্রচুর শস্য কাটবেন।

আর প্রার্থনা করার গুরুত্ব ভুলে যাবেন না। খেয়রখিনা ও ক্রিস্টিন সবসময় যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিল। আপনি যদি ‘প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকেন’ এবং কখনো আশা ছেড়ে না দেন, তাহলে “অনেক দিনের পরে” আপনি হয়তো আবার সেই “ভক্ষ্য” পাবেন, যা আপনি জলের ওপরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।—রোমীয় ১২:১২; উপ. ১১:১.

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার প্রায় ৪০ বছর পর, খেয়রখিনা তার স্বামীকে বাপ্তিস্ম নিতে দেখেছিলেন

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

অ্যালিসের কাছ থেকে স্টেলা যে-চিঠি পেয়েছিলেন, সেখানে বলা আছে: “আমি জানি, আপনি এটা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন যে, আপনার ১৯৭৪ সালের একজন বাইবেল ছাত্রী সম্প্রতি জেলা সম্মেলনে বাপ্তিস্ম নিয়েছে”

[৩২ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“২৯ বছর আগে আমার মধ্যে সেই বীজ বপন আর আমার অনুসরণের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছেন বলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”—অ্যালিস