সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রাচীন একটা পাত্রের উপর বাইবেলে উল্লেখিত এক নাম

প্রাচীন একটা পাত্রের উপর বাইবেলে উল্লেখিত এক নাম

দু-হাজার বারো সালে মাটি খনন করে ৩,০০০ বছরের পুরোনো একটা মাটির পাত্রের ভাঙা টুকরো খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাঙা টুকরোগুলো সম্প্রতি গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে। এই আবিষ্কারের মধ্যে বিশেষ কী ছিল? ভাঙা টুকরোগুলো নয় বরং এগুলোর উপর যা লেখা ছিল, সেটাই বিশেষ ছিল।

এই মৃৎশিল্পের টুকরোগুলো জোড়া লাগাতে সক্ষম হওয়ার পর, প্রত্নতত্ত্ববিদরা এর উপর খোদাই করা কনানীয় লিপির অর্থ বুঝতে পেরেছিলেন। সেখানে লেখা আছে: “ইশ্‌বাল বিন বেদা [বেদার পুত্র]।”। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রথম বার কোনো প্রাচীন খোদাই করা লিপিতে এই নাম খুঁজে পেয়েছেন।

আসলে, বাইবেলে আরেকজন ইশ্‌বাল সম্বন্ধে উল্লেখ করা আছে—তিনি ছিলেন রাজা শৌলের একজন পুত্র। (১ বংশা. ৮:৩৩; ৯:৩৯) অধ্যাপক ইয়োসেফ গারফিংকেল সেই খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন: “খুবই আগ্রহজনক একটা বিষয় জানা গিয়েছে আর তা হল, ইশ্‌বাল নামটা বাইবেলে শুধু রাজা দায়ূদের রাজত্বকালেই পাওয়া যায় আর এখন প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণেও তা পাওয়া গিয়েছে।” কেউ কেউ মনে করেন, শুধু সেই সময়কালেই এই নামটা প্রচলিত ছিল। আবারও, বাইবেলের একটা ক্ষুদ্র অংশ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের দ্বারা নিশ্চিত করা গিয়েছে।

বাইবেলের আরেক জায়গায় ইশ্‌বাল নামটা ঈশ্‌বোশৎ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে “বাল” শব্দের জায়গায় “বোশৎ” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। (২ শমূ. ২:১০) কেন? “দ্বিতীয় শমূয়েলে সম্ভবত ইচ্ছা করেই ইশ্‌বাল নাম ব্যবহার করা হয়নি, যে-নামটা কনানীয়দের ঝড়-বৃষ্টির দেবতা বালের কথা মনে করিয়ে দিত,” গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন, “তবে আসল নাম . . . বংশাবলির পুস্তকে সংরক্ষণ করা হয়েছে।”